সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ভারতের ইতিহাস লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অপারেশন জিব্রাল্টার: যে পরিকল্পনা ভারতকে দুর্বল ভেবেছিল পাকিস্তান

 ১৯৬৫ সালের গ্রীষ্মে পাকিস্তান যখন ভারত আক্রমণের পরিকল্পনা করছিল, তখন তাদের কৌশল ছিল একটি গোপন অপারেশনের উপর নির্ভরশীল: 'অপারেশন জিব্রাল্টার'। তাদের ধারণা ছিল যে চীন-ভারত যুদ্ধের পর ভারতীয় সেনাবাহিনী দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং কাশ্মীর উপত্যকায় অনুপ্রবেশকারী পাঠিয়ে সহজেই কাশ্মীর দখল করা সম্ভব হবে। কিন্তু তারা জানত না যে, এই ভুল হিসেবই যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। এই অপারেশনটি কেবল একটি সামরিক কৌশল ছিল না, এটি ছিল একটি রাজনৈতিক ভুল ধারণার প্রতিফলন। পাকিস্তান ভেবেছিল কাশ্মীরিরা তাদের অভ্যর্থনা জানাবে এবং যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে। কিন্তু ভারতের পাল্টা আঘাত এবং সামরিক প্রতিরোধ তাদের সমস্ত পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয়। এই যুদ্ধের পেছনের আসল কারণ, অপারেশনের বিস্তারিত পরিকল্পনা এবং এর অপ্রত্যাশিত ফলাফল সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে পড়ুন আমাদের বিস্তারিত ব্লগ পোস্টটি। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন:  [১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: কারণ, ফলাফল এবং প্রভাব]

স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: এক মানুষ, ৫৬২টি রাজ্য ও এক অখণ্ড ভারত

 ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট, ভারত যখন স্বাধীনতা লাভ করল, তখন দেশের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। ব্রিটিশরা ভারত ছেড়ে যাওয়ার আগে ৫০০-এরও বেশি দেশীয় রাজ্যকে স্বাধীন করে দিয়ে গিয়েছিল, যার ফলে দেশের অখণ্ডতা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছিল। প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব শাসক, সৈন্য এবং রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা ছিল, যা ভারতকে শত শত খণ্ডে বিভক্ত করার ক্ষমতা রাখত। এই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছিলেন একজন মাত্র মানুষ—সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল । তার অদম্য ইচ্ছা, দূরদর্শিতা এবং ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা তাকে এই বিশাল কাজটি সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছিল। কীভাবে তিনি কূটনৈতিক কৌশল ও প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে সমস্ত রাজ্যকে এক ছাতার নিচে নিয়ে এসেছিলেন, সেই বীরত্বপূর্ণ গল্পটি জানতে পড়ুন আমাদের বিস্তারিত ব্লগ পোস্টটি। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন:  [লৌহপুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল: ঐক্য ও অখণ্ড ভারতের রূপকার]

নেতাজির মহানিষ্ক্রমণ: গোপন অভিযান থেকে বার্লিনের বিপ্লবী অধ্যায়

 কলকাতা থেকে পেশোয়ার, তারপর কাবুল হয়ে জার্মানি—এই ছিল এক নির্ভীক নেতার গোপন যাত্রাপথ, যা ইতিহাসে 'মহানিষ্ক্রমণ' নামে পরিচিত। ছদ্মবেশ ধারণ করে ব্রিটিশদের চোখে ধুলো দিয়ে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, কারণ তিনি জানতেন, সশস্ত্র বিপ্লবের আগুন জ্বালতে হলে দেশের বাইরে থেকে সমর্থন জোগাড় করা জরুরি। এই দুঃসাহসিক অভিযান কেবল একটি পলায়ন ছিল না, এটি ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী কৌশলগত পদক্ষেপ। বার্লিনে পৌঁছানোর পর তিনি কীভাবে প্রবাসী ভারতীয়দের সংগঠিত করেছিলেন এবং স্বাধীনতার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন, সেই অসাধারণ গল্পের শুরু এই গোপন যাত্রা থেকেই। নেতাজির এই দুঃসাহসিক অভিযান এবং বার্লিনের বিপ্লবী অধ্যায়ের সম্পূর্ণ ইতিহাস জানতে পড়ুন আমাদের বিস্তারিত ব্লগ পোস্টটি। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন:  [ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ও বার্লিনের বিপ্লবী অধ্যায়: স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত এক বীরগাথা

কলকাতা থেকে সাগর পার: ভারতের প্রথম ডাকঘরের অজানা ইতিহাস

 আজও কি আপনার বাড়ির কাছে সেই লাল রঙের ডাকঘরটি রয়েছে? একটি চিঠি, কিছু স্ট্যাম্প আর পোস্টম্যানের সাইকেলের ঠুকঠুক আওয়াজ—এই ছিল এক সময়ের যোগাযোগের ছবি। কিন্তু আপনি কি জানেন, ভারতের প্রথম ডাকঘরটি কোথায় ছিল? এটি কোনো বড় শহরে ছিল না, ছিল বাংলার এক বিস্মৃত বন্দর, খেজুরিতে। এই ছোট্ট বন্দরটি একসময় ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল এবং এখান থেকেই শুরু হয়েছিল আধুনিক ভারতীয় ডাক ব্যবস্থার পথচলা। কলকাতা থেকে সাগর পারের যোগাযোগের এই ঐতিহাসিক কেন্দ্রটি কীভাবে সময়ের সঙ্গে হারিয়ে গেল, সেই বিস্ময়কর গল্প এবং ভারতের প্রথম ডাকঘরের সম্পূর্ণ ইতিহাস জানতে পড়ুন আমাদের বিস্তারিত ব্লগ পোস্টটি। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন:   [ভারতের প্রথম ডাকঘরের সন্ধানে: খেজুরির বিস্মৃত ইতিহাস]

এক জাহাজ, এক স্বপ্ন: ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম নিজস্ব নৌবহরের লড়াই

 সমুদ্র পথে ব্যবসা-বাণিজ্য মানেই তখন ব্রিটিশদের একচেটিয়া দাপট। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য এই পথে হাঁটা ছিল প্রায় অসম্ভব এক স্বপ্ন। কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করতে এগিয়ে এসেছিলেন কিছু স্বপ্নদ্রষ্টা, যারা কেবল একটি স্টিমশিপ দিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে নিজেদের নৌবহর গড়ার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এটি শুধু একটি বাণিজ্যিক উদ্যোগ ছিল না, ছিল এক প্রবল দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশ। স্বদেশী স্টিম নেভিগেশন কোম্পানি থেকে শুরু করে সিন্ধিয়া স্টিম নেভিগেশন কোম্পানির মতো উদ্যোগগুলো কীভাবে ভারতীয় সমুদ্রপথে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল এবং ব্রিটিশদের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল, সেই বীরগাথা আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে। এই অসম লড়াইয়ের প্রতিটি মুহূর্তের গল্প জানতে পড়ুন আমাদের বিস্তারিত ব্লগ পোস্টটি। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন:  [ভারতের প্রথম নিজস্ব নৌবহরের উত্থান: স্বদেশী ও সিন্ধিয়া স্টিম নেভিগেশন কোম্পানির বীরগাথা]